মুহাম্মদ আবু সিদ্দিক ওসমানী :

ডুলাহাজারার মালুমঘাটে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬ ভাই এর বাড়ি ও ঘটনাস্থল বুধবার ২৩ ফেব্রুয়ারী পরিদর্শনে আসছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কক্সবাজার জেলা সভাপতি এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এডভোকেট রানা দাশগুপ্তের নেতৃত্বে ২৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের মালুমঘাটস্থ শোকাহত মৃত সুরেশ চন্দ্র সুশীলের বাড়ি পরিদর্শন করবেন। এরপর প্রতিনিধিদল স্থানীয়ভাবে আয়োজিত একটি প্রতিবাদ সভায় যোগ দেবেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারী সড়ক দুর্ঘটনায়
পাঁচ ভাই নিহতের পর গুরতর আহত ষষ্ঠ ভাই রক্তিম শীল সোমবার ২২ ফেব্রুয়ারী সকাল সারা ১০ টার দিকে মারা যান।তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

দুর্ঘটনার পর প্রথমে তাকে চমেক হাসপাতালে সেখান থেকে ম্যাক্স হাসপাতাল হয়ে জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে গত ৫ দিন আগে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়।

এদিকে, কক্সবাজার জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি এডভোকেট দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু জানিয়েছেন, মঙ্গলবার মারা যাওয়া রক্তিম শীল এর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি, ময়নাতদন্ত সহ সকল আইনী কার্যক্রম শেষ করে তার মৃতদেহ সৎকারের জন্য মালুমঘাটে আনা হয়েছে। এর আগে মারা যাওয়া অপর ৫ ভাই এর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি ও ময়নাতদন্ত করা হয়নি।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে পিতার শ্রাদ্ধ শেষে বাড়ি ফেরার সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে পিকআপভ্যানের চাপায় পাঁচ ভাই নিহত হন। ঘটনাস্থলে চারজন ও হাসপাতালে নেওয়ার পর অপরজন মারা যান।

ঘটনাস্থলে নিহত চার ভাই হলেন-ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাসিনা পাড়া এলাকার মৃত ডা. সুরেশ চন্দ্র শীলের ছেলে ডা. অনুপম শীল (৪৬) এবং তার তিন ভাই নিরুপম শীল (৪০), দীপক শীল (৩৫) ও চম্পক শীল (৩০)। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান স্মরণ শীল (৩২) নামের আরও এক ভাই।

দুর্ঘটনায় আহত হয়ে মালুমঘাট মেমোরিয়াল খৃষ্টান হাসপাতালে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন রক্তিম শীল ও হীরা শীল। তাদের দুইজনের মধ্যে থেকে রক্তিম শীল নামে আরও এক ভাই মঙ্গলবার সকালে মারা যান।

এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতদের আরেক ভাই প্লাবন চন্দ্র শীল বাদী হয়ে অজ্ঞাত পিকআপভ্যান চালককে আসামি করে চকরিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ঢাকা থেকে চালককে র‌্যাব গ্রেপ্তার করে। র‍্যাব জানিয়েছিল, ঘন কুয়াশার কারণে পিকআপ চালক রাস্তায় দেখতে না পেয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটায়।